জিবরাইল আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী ফেরেশতা
ডেক্স রিপোর্ট • ফেরেশতাদের ভেতর জিবরাইল (আ.) আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী। আল্লাহর পক্ষ থেকে নবী-রাসুলদের প্রতি ওহি নিয়ে আসা তাঁর প্রধান দায়িত্ব। তবে আল্লাহর অন্যান্য নির্দেশ ও নির্দেশনাও তিনি পালন করে থাকেন। পবিত্র কোরআনে তাঁকে জিবরাইল নামে এবং ‘রুহুল আমিন’ (বিশ্বস্ত সত্তা), ‘রাসুলুন কারিম’ (সম্মানিত প্রতিনিধি) ও ‘রুহুল কুদুস’ (পবিত্র সত্তা) উপাধিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই কোরআন জগত্গুলোর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। রুহুল আমিন (জিবরাইল) তা নিয়ে অবতরণ করেছে তোমার অন্তরে, যাতে তুমি সতর্ককারী হতে পারো। ’ (সুরা : আশ-শুআরা, আয়াত : ১৯২-১৯৪)
আল্লাহ তাআলা কখনো কখনো জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে নবী-রাসুল ও মুমিনদের শক্তি সঞ্চার করে থাকেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং নিশ্চয়ই আমি মুসাকে কিতাব দিয়েছি এবং তার পরে পর্যায়ক্রমে রাসুলদের প্রেরণ করেছি, মারিয়ামপুত্র ঈসাকে স্পষ্ট প্রমাণ দিয়েছি এবং পবিত্র আত্মা দ্বারা তাকে শক্তিশালী করেছি। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৮৭)
আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহি তথা নবুয়ত নিয়ে মহানবী (সা.)-এর প্রতি অবতীর্ণ হওয়ায় ইহুদিরা জিবরাইল (আ.)-এর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। আল্লাহ তাদের এই ভিত্তিহীন বিদ্বেষের নিন্দা করে বলেছেন, ‘বলো, কেউ জিবরাইলের শত্রু এ জন্য যে, সে আল্লাহর নির্দেশে তোমার হৃদয়ে কোরআন পৌঁছে দিয়েছি, যা তার পূর্ববর্তী কিতাবের সমর্থক এবং যা মুমিনদের জন্য পথপ্রদর্শক ও শুভ সংবাদ—যে আল্লাহর, তাঁর ফেরেশতাদের, তাঁর রাসুলদের এবং জিবরাইল ও মিকাইলের শত্রু, সে জেনে রাখুক, নিশ্চয়ই আল্লাহ অবিশ্বাসীদের শত্রু। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৯৭-৯৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) জিবরাইল (আ.)-কে তাঁর আপন অবয়বে এবং মানুষের আকৃতিতে দেখেছেন। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) তাঁকে মানুষের আকৃতিতে দেখেছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৭৭৭)
আলেমরা বলেন, জিবরাইল (আ.) আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী ফেরেশতা এবং ফেরেশতাদের ওপর তাঁর বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। তাঁরা এই বিষয়ে নিম্নোক্ত আয়াত দ্বারা দলিল পেশ করেন। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই এই কোরআন সম্মানিত বার্তাবাহকের আনীত বাণী, যে সামর্থ্যশীল, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাসম্পন্ন, যাকে সেখানে মান্য করা হয়, যে বিশ্বাসভাজন। ’ (সুরা : তাকভির, আয়াত : ১৯-২১)
আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া